অনেক ‘প্রথম’কে সঙ্গী করে জীবন কাটাতে হয়। নিতে হয় অভিজ্ঞতা। তারকাদের জীবনেও এমন প্রথম অভিজ্ঞতা রয়েছে। Nadia Ahmed-এর এমন প্রথম পাঁচটি অভিজ্ঞতা নিয়েই প্রথম পাঁচ।
মঞ্চে প্রথম
স্কুলে ভর্তির আগেই আমাকে নাচের ক্লাসে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশু একাডেমিতে নাচ শিখতাম। সেখানে প্রায়ই অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলীয় নাচ পরিবেশন করতে হতো। কিন্তু প্রথম কবে মঞ্চে নাচ পরিবেশন করেছি, সেটা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারব না। তবে একদম ছোটবেলায় মঞ্চে একটা পরিবেশনের কথা আমার অল্প মনে আছে। সম্ভবত সেটিই আমার মঞ্চে প্রথম পরিবেশনা। একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান ছিল ওটা। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের সঙ্গে একটি দলীয় পরিবেশনা। খুব সম্ভবত এটি ১৯৮৫ সালের ঘটনা। কিন্তু সেই দলীয় পরিবেশনায় আমাকে কোনো নাচই করতে হয়নি। কারণ আমার চরিত্রটি ছিল মৃত ব্যক্তির। দলের এক বড় আপু আমাকে কোলে করে নিয়ে মঞ্চে ঢুকেছিলেন। মঞ্চে পুরোটা সময় আমাকে চোখ বন্ধ করে রাখতে হয়েছিল, হাত-পা নাড়ানোও বারণ ছিল।
প্রথম ক্যামেরার সামনে
নাচের জন্যই প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেটা ছিল বিটিভির ‘শিশু মেলা’ নামের ছোটদের একটা অনুষ্ঠান। কী গানের সঙ্গে নেচেছিলাম মনে নেই। এমনকি বড় হয়ে অনুষ্ঠানটির ভিডিও দেখেছি। তখনো গানটি বুঝতে পারিনি। কারণ, ওই ভিডিওতে কোনো শব্দ ছিল না। কিন্তু ছোট্ট আমাকে হেলেদুলে নাচতে দেখে নিজের কাছেই বেশ মজা লাগছিল।
প্রথম পারিশ্রমিক
শিশুশিল্পী হিসেবে কোনো একটা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম ৩০০ টাকা। ওটাই ছিল আমার প্রথম পারিশ্রমিক। ছোটবেলায় যেসব পারিশ্রমিক পেতাম মা আমার নামে সঞ্চয় করে রাখতেন। আমার নাচের অনেক অনুষ্ঠানের পোশাক ও অনুষঙ্গ কেনার কাজে খরচ করা হতো সেসব পারিশ্রমিক।
প্রেক্ষাগৃহে দেখা প্রথম সিনেমা
সিনেমা হলে গিয়ে আমার দেখা প্রথম ছবি দুই জীবন। আমার বয়স তখন খুব কম। কিন্তু নিজে থেকেই আফজাল হোসেন ও দিতি অভিনীত এই ছবি দেখার বায়না ধরেছিলাম। তখন তো আফজাল হোসেনের একটা ভীষণ ক্রেজ ছিল। বড়দের দেখাদেখি তাই আমিও তাঁর ছবিটি দেখার জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা সে সময় বিজয়নগরে থাকতাম। রাজমণি সিনেমা হলে পরিবারের সবার সঙ্গে সিনেমাটি দেখেছিলাম। একই হলে আলীবাবা চল্লিশ চোরছবিটিও খুব শখ করে দেখেছিলাম। রূপকথার গল্পের প্রতি আমার ছিল বিশেষ ঝোঁক। আলীবাবার গল্পে ‘চিচিং ফাঁক’ বলে গুহার দরজা খোলার বিষয়টা আমার খুব মজা লাগত।
প্রথম প্রেম
বেশির ভাগ মানুষের মতো আমার প্রথম প্রেমও হয়েছিল স্কুলে থাকতে। কৈশোরের প্রেম যেমন হয়, আমার সেই প্রেমও তেমনি ছিল। প্রথম প্রেমের উচ্ছ্বাস আর উৎকণ্ঠা মানেই অন্য রকম এক অনুভূতি। তার একটু দেখা পেলেই হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেত। ল্যান্ডফোন থেকে চুরি করে ফোনে কথা বলতাম। আর মনে থাকত ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়। প্রথম প্রেম তেমন সিরিয়াস ছিল না, আসলে লুকোচুরির মজাটাই বেশি উপভোগ করতাম। কে ছিল সে, এটা এখন আর না বলি।